গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের গৌরবময় ৫০ বছর পূর্তি
ইসরাত জাহান
|
একটি দেশের সার্বিক উন্নতিকল্পে নারী পালন করছে এক বিরাট ভূমিকা। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নকামী দেশে নারীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা অতীব জরুরি। আর নারী শিক্ষার এ মহান ব্রত নিয়ে যে ক’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তার মধ্যে ব্যতিক্রমধর্মী ও অনন্য প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের অধিভুক্ত গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ। কলেজটি আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত গ্রিক স্থপতির নকশায় তৈরি। যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬১ সালে, আমেরিকার ফোর্ড ফাউন্ডেশন ও ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটির সহায়তায়। উদ্দেশ্য ছিল এ দেশের অনগ্রসর নারী জাতিকে ব্যক্তিগত উন্নয়ন, পারিবারিক ও সমাজ জীবনে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনের সহায়ক পেশাভিত্তিক শিক্ষা প্রদান করা। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে কলেজটি এ লক্ষ্যে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে চলেছে। নারীদের মধ্যে তৈরি করছে গতিশীল ব্যক্তিত্ব, কর্মোদ্যোগ, নিজের পায়ে দাঁড়ানোর উপলব্ধি ও চেতনা।
প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে অধ্যক্ষ প্রফেসর লায়লা আরজুমান্দ বানু বলেন, ‘গার্হস্থ্য অর্থনীতি একটি যুগোপযোগী শিক্ষা যা বাস্তব জীবনে খুবই প্রয়োজনীয়। এখান থেকে শিক্ষা লাভ করে শিক্ষার্থীরা দেশের ও সমাজের উন্নতিতে সহায়তা করতে পারবে বলে আমার দৃঢ়বিশ্বাস।’
এখানে যে বিষয়গুলো পড়ানো হয় তা হলো—খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান, গৃহ ব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ন, শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক, ব্যবহারিক শিল্পকলা, বস্ত্র-পরিচ্ছদ ও বয়ন শিল্প।
প্রত্যেকটা বিষয়েই আছে ইন্টার্নশিপের সুযোগ। এছাড়াও গবেষণা, সেমিনার, হিউম্যান ল্যাব, কাউন্সেলিং, ফিল্ড ওয়ার্ক, রেসিডেন্স হাউস ইত্যাদিতে কাজ করে মেয়েরা হয়ে ওঠে অত্যন্ত দক্ষ ও সাবলীল। এখানে আছে বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটস, যা উন্নত প্রশিক্ষণে মেয়েদের গড়ে তুলছে স্বাবলম্বী, স্বনির্ভর ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে।
এখানে পড়াশোনা শেষ করে দেশে-বিদেশে চমত্কার সব চাকরি করছে মেয়েরা। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসাতে পুষ্টিবিদ হিসেবে কর্মরত আছেন এখানকার ছাত্রী। এছাড়া ডিজাইনার বিবি রাসেলও পড়াশোনা করেছেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে।
গার্হস্থ্য অর্থনীতির ৫টি বিভাগের শিক্ষা পাঁচ ধরনের পেশার দ্বার উন্মোচন করে।
খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রীরা খাদ্য ও পুষ্টি সম্পর্কিত বিষয়গুলো সম্পর্কে হাতে-কলমে শিক্ষা গ্রহণ করে কর্মরত আছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুষ্টি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, খাদ্য উত্পাদন প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে পুষ্টিবিদ ও পথ্যবিদ হিসেবে।
গৃহব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ন বিষয়টি শিক্ষা দেয় সর্বক্ষেত্রে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার। বিষয়টির জ্ঞান বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এনজিও ইত্যাদিতে কাজের ক্ষেত্র তৈরি করে এবং সেখানে মেয়েরা কাজ করছে সাফল্যের সঙ্গে।
শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্রীরা উচ্চপদে কর্মরত আছেন শিশুদের কল্যাণে নিয়োজিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন হাসপাতালের শিশু বিকাশ কেন্দ্র, শিশু সংক্রান্ত কাউন্সেলিং, ইসিডি কার্যক্রম, মা ও শিশু স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে।
ব্যবহারিক শিল্পকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ও কারুশিল্প তৈরিতে দক্ষতার পরিচয় দেয়। এ বিভাগ থেকে পাস করে মেয়েরা কাজ করছেন ডিজাইন সেন্টার, বিজ্ঞাপন সংস্থা, জাদুঘর, কুটির শিল্প, মৃত্ শিল্প, তাত শিল্প প্রতিষ্ঠানে।
বস্ত্র-পরিচ্ছদ ও বয়ন শিল্প বিভাগের ছাত্রীরা সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন বিভিন্ন বস্ত্রশিল্প প্রতিষ্ঠান, বায়িং হাউসে ফ্যাশন ডিজাইনার, মার্চেন্ডাইজার ইত্যাদি পদে। গার্হস্থ্য অর্থনীতি শিক্ষা জীবনের সব ক্ষেত্রে জড়িয়ে আছে।
এ কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর নিশাত পারভীন বলেন, আবাসিক সমস্যা নিরসেন এখানে ৩টি সুশৃঙ্খল হোস্টেল আছে, ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়েরাও শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। দেশ-বিদেশের নানা বইয়ে সমৃদ্ধ লাইব্রেরিতে মেয়েরা একাডেমীর বাইরেও পড়ার সুযোগ পাচ্ছে।
গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ মেয়েদের তৈরি করছে মানবসম্পদে। তারা অসুন্দর ও অমঙ্গলকে পেছনে ফেলে কাজ করছে আলোকিত সমাজ গঠনে। তাদের কর্মময় শিক্ষা ছড়িয়ে পড়ছে গৃহে, রাষ্ট্রে ও সারা পৃথিবীতে।
প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে অধ্যক্ষ প্রফেসর লায়লা আরজুমান্দ বানু বলেন, ‘গার্হস্থ্য অর্থনীতি একটি যুগোপযোগী শিক্ষা যা বাস্তব জীবনে খুবই প্রয়োজনীয়। এখান থেকে শিক্ষা লাভ করে শিক্ষার্থীরা দেশের ও সমাজের উন্নতিতে সহায়তা করতে পারবে বলে আমার দৃঢ়বিশ্বাস।’
এখানে যে বিষয়গুলো পড়ানো হয় তা হলো—খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান, গৃহ ব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ন, শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক, ব্যবহারিক শিল্পকলা, বস্ত্র-পরিচ্ছদ ও বয়ন শিল্প।
প্রত্যেকটা বিষয়েই আছে ইন্টার্নশিপের সুযোগ। এছাড়াও গবেষণা, সেমিনার, হিউম্যান ল্যাব, কাউন্সেলিং, ফিল্ড ওয়ার্ক, রেসিডেন্স হাউস ইত্যাদিতে কাজ করে মেয়েরা হয়ে ওঠে অত্যন্ত দক্ষ ও সাবলীল। এখানে আছে বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটস, যা উন্নত প্রশিক্ষণে মেয়েদের গড়ে তুলছে স্বাবলম্বী, স্বনির্ভর ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে।
এখানে পড়াশোনা শেষ করে দেশে-বিদেশে চমত্কার সব চাকরি করছে মেয়েরা। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসাতে পুষ্টিবিদ হিসেবে কর্মরত আছেন এখানকার ছাত্রী। এছাড়া ডিজাইনার বিবি রাসেলও পড়াশোনা করেছেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে।
গার্হস্থ্য অর্থনীতির ৫টি বিভাগের শিক্ষা পাঁচ ধরনের পেশার দ্বার উন্মোচন করে।
খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রীরা খাদ্য ও পুষ্টি সম্পর্কিত বিষয়গুলো সম্পর্কে হাতে-কলমে শিক্ষা গ্রহণ করে কর্মরত আছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুষ্টি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, খাদ্য উত্পাদন প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে পুষ্টিবিদ ও পথ্যবিদ হিসেবে।
গৃহব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ন বিষয়টি শিক্ষা দেয় সর্বক্ষেত্রে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার। বিষয়টির জ্ঞান বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এনজিও ইত্যাদিতে কাজের ক্ষেত্র তৈরি করে এবং সেখানে মেয়েরা কাজ করছে সাফল্যের সঙ্গে।
শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্রীরা উচ্চপদে কর্মরত আছেন শিশুদের কল্যাণে নিয়োজিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন হাসপাতালের শিশু বিকাশ কেন্দ্র, শিশু সংক্রান্ত কাউন্সেলিং, ইসিডি কার্যক্রম, মা ও শিশু স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে।
ব্যবহারিক শিল্পকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ও কারুশিল্প তৈরিতে দক্ষতার পরিচয় দেয়। এ বিভাগ থেকে পাস করে মেয়েরা কাজ করছেন ডিজাইন সেন্টার, বিজ্ঞাপন সংস্থা, জাদুঘর, কুটির শিল্প, মৃত্ শিল্প, তাত শিল্প প্রতিষ্ঠানে।
বস্ত্র-পরিচ্ছদ ও বয়ন শিল্প বিভাগের ছাত্রীরা সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন বিভিন্ন বস্ত্রশিল্প প্রতিষ্ঠান, বায়িং হাউসে ফ্যাশন ডিজাইনার, মার্চেন্ডাইজার ইত্যাদি পদে। গার্হস্থ্য অর্থনীতি শিক্ষা জীবনের সব ক্ষেত্রে জড়িয়ে আছে।
এ কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর নিশাত পারভীন বলেন, আবাসিক সমস্যা নিরসেন এখানে ৩টি সুশৃঙ্খল হোস্টেল আছে, ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়েরাও শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। দেশ-বিদেশের নানা বইয়ে সমৃদ্ধ লাইব্রেরিতে মেয়েরা একাডেমীর বাইরেও পড়ার সুযোগ পাচ্ছে।
গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ মেয়েদের তৈরি করছে মানবসম্পদে। তারা অসুন্দর ও অমঙ্গলকে পেছনে ফেলে কাজ করছে আলোকিত সমাজ গঠনে। তাদের কর্মময় শিক্ষা ছড়িয়ে পড়ছে গৃহে, রাষ্ট্রে ও সারা পৃথিবীতে।
http://www.amardeshonline.com/pages/printnews/2010/09/20/164583
0 comments:
Post a Comment