Monday, April 6, 2015

প্রজন্মের পুষ্টিবিদ - ইত্তেফাক

তা মা ন্না চৌ ধু রী
প্রিন্সিপাল ডায়েটেশিয়ান
অ্যাপোলো হসপিটাল, ঢাকা
ঢাকা, সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১২


'আমার মা পড়তেন গার্হস্থ্য অর্থনীতিতে। তাই ছোটবেলা থেকেই ওখানে পড়ার ইচ্ছা ছিল। গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে চান্স পাওয়ার পর যখন বিষয় নির্বাচনের ধাপটি এল, তখন ভাবলাম এমন একটি বিষয় নেব, যার জ্ঞান আমি ঘরে ও বাইরে দুই জায়গাতেই প্রয়োগ করতে পারব। এই ভেবে খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হই। এখন আমি আমার পেশাগত জীবনে একাডেমিক জ্ঞানগুলো কাজে লাগাতে পারি, পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঠিক, পরিমিত ও সুষম ডায়েট নিশ্চিত করতে সহায়তা করি। এভাবে শুরু করলেন অ্যাপোলো হসপিটাল, ঢাকার প্রিন্সিপাল ডায়েটেশিয়ান তামান্না চৌধুরী। তামান্নার এই পেশায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ কতটুকু জানতে চেয়েছিলাম। তিনি জানালেন শুরুর দিকটাতে মানুষ বুঝত না আসলেই এই পেশার চাহিদা বা প্রয়োজনীয়তা কতখানি। সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে সময় লাগলেও এখন তারা বেশ আশাবাদী, বড় শহরগুলোতে এখন অনেকেই ডায়েটেশিয়ানের খোঁজ করছেন। ডাক্তাররাও রোগীদের যোগ্য পরামর্শের জন্য অনেক সময় তাদের কাছে পাঠাচ্ছেন। এর মাধ্যমে রোগীরাও আস্থা নিয়ে আসছে, এই বিষয়টা যথেষ্টই উপভোগ করেন তিনি। প্রজন্মের এই ডায়েটেশিয়ান একাধিকবার দেশের বাইরে থেকে পুষ্টিবিজ্ঞান ও ডায়েটিশিয়ানের ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। নয়াদিল্লি থেকে ডায়েবেটিসের উপর পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। প্রতিবছরই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নেন তিনি। বাবার চিকিত্সার জন্য আমেরিকাতে থাকাকালীন বিশ্বের সেরা হাসপাতালগুলোর ডায়েট বিভাগের কাজ তিনি সামনে থেকে দেখেন, সেটাও তার জন্য বড় এক অভিজ্ঞতা। তামান্না মনে করেন, সময়ের সাথে সাথে এই ক্ষেত্রটা তাই পেশা হিসেবে বেশ উপযোগী আমাদের দেশে। আগে খুব একটা আলাদা কাজ করার জায়গা না থাকলেও এখন হয়েছে, মানুষ বেশ আগ্রহ নিয়ে আসছে কাজ করতে। নতুনদের কাজ দেখে বেশ আগ্রহী তামান্না। ইন্টার্নি করতে যারা আসে তারা হাসিমুখে সেবা দিচ্ছে রোগীদের। রোগীরাও অনেক সময় ডায়েটের বিষয়ে কনসালটেশনে খোলামেলা কথা বলছে তাদের সাথে। এই সুযোগে সবার সাথেই একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠছে। বিশেষ করে মেয়েরা অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে কনসালটেশনে অংশ নিচ্ছে, ছেলেরাও পুষ্টিবিজ্ঞানের দিকটাতে খুব ভালো করছে। তামান্নার বাবা ছিলেন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। তারা তিন বোন। তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে তাই দেশের বিভিন্ন শহর ঘুরে ঘুরে। কুমিল্লা, রাজবাড়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ অনেক জেলাতেই তার স্কুল-কলেজের জীবন কেটেছে। ঢাকার আইডিয়াল স্কুল থেকে এসএসসি আর রাজবাড়ি কলেজ থেকে এইচএসসি উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে। পারিবারিক জীবনে এখন মা আর দুই সন্তান তানজীন আর তানিশাকে নিয়ে কেটে যায় তার সুখের দিন। অবসরে টিভি দেখতে ভালোবাসেন খুব, গান শুনতে বই পড়তে ভালো লাগে তার। বাকি সময়টা শুধুই রোগীদের সেবায়, যাদের সন্তুষ্টিই তার সবেচেয়ে বড় প্রাপ্তি। অভিজ্ঞ এই ডায়েটিশিয়ান স্বপ্ন দেখেন নিজেই একটা ইনস্টিটিউশন দেবেন, সেটা পুরোটাই নিবেদিত থাকবে ডায়েটের প্রয়োজন আছে এমন রোগীদের জন্য। সেটা বাস্তবায়ন হলে হয়তো অনেকেই কাজ করার সুযোগ পাবে, তার চেয়ে বড় কথা পৃথক একটা জায়গা থাকবে রোগীদের বিশেষ যত্ন ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য। 

তামান্না চৌধুরী

ডাকনাম :তামান্না

জন্ম তারিখ ও স্থান :৩ জুন, ঢাকা

মায়ের নাম :আশরাফা খানম চৌধুরী

বাবার নাম :গোলাম মওলা চৌধুরী

প্রথম স্কুল :উদয়ন হাই স্কুল, ঢাকা

প্রিয় মানুষ :আমার বাবা

প্রিয় উক্তি :বর্তমানটাই পাথেয়

প্রিয় পোশাক :শাড়ি

অবসর কাটে যেভাবে :টিভি দেখে, বই পড়ে

সাফল্যের সংজ্ঞা :যা শেখা হয় তা জীবনে ঠিকমতো প্রয়োগ করতে পারা।


Friday, April 3, 2015

সিঁড়ি ভেঙ্গে পথ দেখানো নারী - আদন ইসলাম (CHE-CD) - dailyjanakantha

সিঁড়ি ভেঙ্গে পথ দেখানো নারী

তারিখ: ২৬/১২/২০১৪
‘পরিচ্ছন্নতা কর্মী’ দলিত, সুইপার যে নামেই ডাকি না কেন এ নামগুলোর সঙ্গে কতগুলো শব্দ প্রসঙ্গতই সামনে এসে যায় সেগুলো হলোÑ অস্পৃশ্য, অশুচি, ঘৃণ্য। পরিচ্ছন্নতার কাজ ব্যতিরেকে তথাকথিত ভদ্র সমাজের মানুষের অন্য কোন কার্যক্রমে এদের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। নগরে থেকেও নেই নাগরিক সুযোগ-সুবিধা; শতবর্ষ ধরে কাজ করেও আজ হয়নি ‘প্রাতিষ্ঠানিক’ অথবা ‘অপ্রাতিষ্ঠানিক’ কর্মীর স্বীকৃতি। ‘শ্রম আইন-২০০৬’ এখানে খাটে না, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০০০-এর ‘সবার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা’ সেøাগান এদের জন্য অর্থহীন বললেই চলে।
এরকম একটি বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবকার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ধরিত্রী ফাউন্ডেশন ফর ইনফরমেশন এডুকেশন’ এ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার পেছনে যে মানুষটি রয়েছেন তিনি একজন নারী। ‘আদন ইসলাম’ নামে দাফতরিক কর্মজগতে তাঁর পরিচিতি কিন্তু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কাছে তিনি ‘মৌ আপা’ নামেই জনপ্রিয়। তিনি বর্তমানে ধরিত্রী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এবং বিভিন্ন দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছেন।
হোম ইকোনমিক্স কলেজের শিশুবর্ধন ও পারিবারিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীর প্রথম স্থান অর্জন করে অনার্স ও মাস্টার্স করার পর ২০০৩ সালে যোগ দেন এডিডি ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি বিদেশী সংস্থায়। পাশাপাশি ভর্তি হন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (এমডিএস) কোর্সে।
এডিডিতে কর্মরত থাকাকালীন (২০০৩-২০০৫) জাতীয় প্রতিবন্ধী কনভেনশন, প্রতিবন্ধী আইন ২০০১-এর পুনর্মূল্যায়ন, পিআর এসপিতে প্রতিবন্ধিতার অন্তর্ভুক্তিকরণ ঢাকা ও নরসিংদী জেলায় ২০টি প্রতিবন্ধী সংস্থা তৈরির মতো আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে অবদান রাখার পর তিনি অর্থনীতিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অবদান বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠক আয়োজনের উদ্দেশ্যে দেখা করেন তৎকালীন অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সঙ্গে। ঠিক এই সময়ই ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমডিএস কোর্সের শেষ বিষয়টি পড়ানো হচ্ছিলো সেটি ছিল ‘ঘএঙ’ং ধহফ ঝড়পরধষ ঊহঃবৎঢ়ৎবহরড়ঁৎং-এই কোর্সটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আদন ইসলাম সিদ্ধান্ত নেন নিজে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করবেন এবং তাঁর এই অভিপ্রায় ড. কাজী খলীকুজ্জমানের সামনে ব্যক্ত করেন। তিনি আগ্রহী হন এবং নিজে উদ্যোগী হয়ে নিকেতনের একটি ভবনে বিনা মূল্যে একটি রুম বরাদ্দ করেন সংস্থার কার্যক্রম শুরু করবার জন্য। ২০০৬-এর জানুয়ারি মাসে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় ধরিত্রী ফাউন্ডেশনের।
এ পর্যন্ত ধরিত্রী ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় গাবতলী সিটি কলোনিতে ৫টি নন-ফরমাল স্কুলে ৪৩৫ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সন্তান শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে, পরিচ্ছন্নতা কর্মী নারীগণ ১ মাসের স্ব-বেতন মাতৃত্বকালীন ছুটির অধিকার অর্জন করেছেন। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন সকল পরিচ্ছন্নতা কর্মীর হেলথ কার্ড ইস্যু করেছে। সুপেয় পানি সরবারহের জন্য একটি রিজার্ভ ট্যাঙ্ক বসানো হয়েছে। ৫০০ পরিচ্ছন্নতা নারী কর্মী চীনা মাটির গহনা বানানোর প্রশিক্ষণ পেয়েছে, অনেকেই বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে।
আদন ইসলামের ‘স্বপ্ন’-একটি সম্পৃক্ত সমাজ যেখানে সকল মানুষ তার পছন্দ অনুসারে যে কোন ধরনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সমান সুযোগ পাবে। তিনি বলেন, ‘এই স্কুলগুলো আমাদের পরিচালনা করার কথা নয়, এই শিশুদের অধিকার রয়েছে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গুণগত শিক্ষা অর্জনের। যেহেতু ওদের পাশে কেউ বসতে চায় না, ওদের খেলতে নেয় না, পরিচয় গোপন করে স্কুলে ভর্তি হতে হয়, পরিচয় প্রকাশিত হয়ে গেলেই শুরু হয় বৈষম্য। সেহেতু আমাদের বাধ্য হয়ে পৃথক স্কুল পরিকল্পনা করতে হচ্ছে। ২০০৭ সালে ধরিত্রী পরিচালিত একটি জরিপে পাওয়া গেছে অন্য শিশুরা দলিত শিশুদের গায়ে ‘থুতু ছিটিয়েছে’ কতখানি ঘৃণা আমরা আমাদের শিশুদের মনে গ্রোথিত করেছি এগুলোই তার প্রমাণ।’ তিনি আরও বলেন, এই বৈষম্য একদিনে তৈরি হয়নি; শতবর্ষ ধরে চলে আসছে। ১৮৪৭ সালে কনজারভেন্সি অফিসার জন ভাল খাবার, উন্নতমানের বাসস্থান সর্বোপরি উন্নত জীবনের লোভ দেখিয়ে ভারতের উত্তর প্রদেশ থেকে এদের ধরে নিয়ে এসেছেন, ১০০ বছর পেরিয়ে গেছে আজ আমরা কথা রাখতে পারিনি।
উল্লেখ্য, আদন ইসলাম তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘ধরিত্রী ফাউন্ডেশন’-এ ২০০৬ থেকে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করছেন বিধায় অর্থ উপার্জনের জন্য তিনি দক্ষতা বৃদ্ধি করেছে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমডিএস ডিগ্রী অর্জনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে এমফিল ডিগ্রী অর্জন করেছেন। পিকেএসএফ এবং ইনস্টিটিউট অব মাইক্রোফিন্যান্স থেকে অ মৎধফবফ ঃৎধরহবৎ-এর সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন। তিনি বিভিন্ন ট্রেনিং সেশন পরিচালনা করে অর্থোপার্জন করে থাকেন, ট্রেনিং মডিউল ডেভেলপ করেন এবং বিভিন্ন গবেষণায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ঈষরসধঃব ঈযধহমব অফধঢ়ঃধঃরড়হ-এর একটি ট্রেনিং মডিউল যা জলবায়ু দুর্গত ২০টি জেলায়।
ট্রেনিং প্রদানের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে তিনি ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্স (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান) এর ঈষরসধঃব গরমৎধঃরড়হ-বিষয়ক একটি গবেষণার কাজে যুক্ত আছেন।
সাংসারিক জীবনে তিনি দুটি পুত্রসন্তানের জননী। তার স্বামী ডা. আসিফ ইকবাল জোয়ার্দার, একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ। এদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে ১৮ বছর বয়সে বিয়ের পরে সংসার, সন্তান, পড়াশোনা সেই সঙ্গে উন্নয়নে অবদান রাখার পথটি অবশ্যই সহজ ছিল না। তাঁর ভাষায়, ‘আর দশটি মেয়ের মতো আমাকেও বহু বাধাবিপত্তি পেরিয়েই এতদূর আসতে হয়েছে কিন্তু আমি মনে করি কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা, ব্যবস্থাপনামূলক দক্ষতা এবং সর্বোপরি লক্ষ্যে স্থির থাকার দৃঢ় অভিপ্রায় একজন মানুষকে শত বাধা পেরিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সম্মুখ পানে।
এদেশের নারীদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে আমি বলতে চাই নিজেকে শ্রদ্ধা করুন। কখনও হাল ছেড়ে দেবেন না, যে কাজটি হাতে নিয়েছেন সেটির শেষ দেখে ছাড়ুন, ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুণ, আবার শুরু করুন। ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ ভেবে পিছিয়ে যাবেন না। সফলতার পিছে না ছুটে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে থাকুন, সাফল্যে আপনার হাতের মুঠোয় অচিরেই ধরা দেবে।’
অপরাজিতা ডেস্ক
http://dailyjanakantha.com/index.php?p=details&csl=103954

বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ - online-dhaka

বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ

১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। কলেজটি বেসরকারী হলেও এমপিওভুক্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত গভর্নিং বডি দ্বারা কলেজটি পরিচালিত হয়। এই কলেজের কোর্সগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান অনুষদের আওতাধীন।

ঠিকানা  অবস্থান
১৪৬/৪, গ্রীনরোড, ঢাকা
ফোন- ৯১৪১৩৩৩
মোবাইল- ০১৭১৫-০৬১৩৬৯, ০১৭১৬-১৬০৬৮৬

কলেজটিতে বর্তমানে চালু থাকা কোর্সগুলো
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সিলেবাস প্রণয়ন করা হয় এবং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বি.এসসি. পাস ও অনার্স কোর্সের জন্য ৫০টি করে আসন বরাদ্দ আছে।
  • বি.এসসি  (সম্মান) ৪ বছরের কোর্স।
  • বি.এসসি (পাস) ৩ বছরের কোর্স।
  • এম.এসসি (প্রিলিমিনারী) ১ বছরের কোর্স।
  • এম.এসসি (ফাইনাল) ১ বছরে কোর্স

যেসব বিষয়ের ওপর কোর্সগুলো পরিচালিত হচ্ছে:
  • খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান
  • শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক
  • বস্ত্র পরিচ্ছদ ও বয়নশিল্প
  • গৃহ ব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ন
  • ব্যবহারিক শিল্পকলা

কোর্সভেদে ভর্তির যোগ্যতা
কলেজটি কেবল মেয়েদের জন্য। এখানে চার বছর মেয়াদী বি.এসসি. অনার্স এবং পাস কোর্স ছাড়াও মাস্টার্স কোর্স চালু আছে। মাস্টার্স প্রিলিমিনারী কোর্সও করানো হয় এখন। বি.এসসি. কোর্সে ভর্তির জন্য এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম ২.০০ জিপিএ থাকা প্রয়োজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী পাশ করে শিক্ষার্থীরা এই কলেজের মাস্টার্স প্রিলিমিনারি কোর্সে ভর্তি হতে পারে। অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। এরপর এই কলেজের মাস্টার্স  ফাইনাল কোর্সেও ভর্তি হতে পারে শিক্ষার্থীরা।

ভর্তির প্রক্রিয়া
ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য কলেজের নোটিশ বোর্ড এবং ওয়েবসাইটে দেয়া হয়। একটি ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়। বি.এসসি. কোর্সে ভর্তির জন্য ৪০০ টাকা মূল্যের ভর্তি ফরম ক্রয় করে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা পাশের একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও প্রশংসাপত্রের ফটোকপি এবং ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ আবেদন করতে হয়। মূলত এইচএসসি কোর্সের সিলেবাস থেকে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রশ্ন করা হয়। ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্যের জন্য কলেজের মূল ভবনের ২য় তলার অফিসে যোগাযোগ করতে হয়। একইভাবে মাস্টার্সে ভর্তির প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। সেক্ষেত্রে বি.এসসি সার্টিফিকেটও প্রয়োজন হয়। সাত থেকে পনেরো দিনের মধ্যে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তি শুরু করা হয়।

পড়াশোনার খরচ
এখানে ভর্তি ফি ৩,০০০ টাকা। এই কলেজের কোর্সগুলোর খরচ মোটামুটি খরচ:

কোর্সের নাম
মেয়াদ
খরচ
বি.এসসি (সম্মান)
৪ বছর
১,৪৫,০০০ টাকা (প্রায়)
প্রত্যেক বছর প্রায় ৩৫, ০০০ টাকা খরচ হবে।
এম.এসসি (সম্মান
১ বছর
৩৩,৬০০০ টাকা (প্রায়)
বি.এসসি (পাস)
৩ বছর
১,০০,০০০ টাকা (প্রায়)
এম.এস (ফাইনাল)
১ বছর
৩৩,৬০০ টাকা

লাইব্ররী, ল্যাব ও ক্লাশরুম
কলেজ ভবনের  ২য় তলায় লাইব্রেরীর অবস্থান। লাইব্রেরী ফি বাবদ প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা নেয়া হয়। কলেজ ভবনের দ্বিতীয় তলায় অফিস কক্ষের পাশে লাইব্রেরীর অবস্থান। লাইব্রেরীটি ব্যভহার করতে হলে লাইব্রেরী কার্ড করতে হয়। লাইব্রেরী ফি বাবদ প্রতি বছর ৫০০ টাকা করে নেয়া হয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।
খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান, গৃহ ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহারিক শিল্পকলা বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা ল্যাব আছে। ক্লাসরুমগুলোয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেই, বসার জন্য কাঠের বেঞ্চ এবং টেবিল আছে।
এছাড়া আধুনিক পদ্ধতির অংশ হিসাবে ওভারহেড প্রজেক্টর ও সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা আছে।

ড্রেসকোড:
কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ড্রেস কোড নেই, তবে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য শালীন পোশাক পরে আসতে হয়।

ক্লাসের সময়সূচী:
প্রতি ক্লাসের ব্যাপ্তিকাল ৪৫ মিনিট। কেবল একটি শিফট চালু আছে এখানে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ক্লাস চলে। শুক্রবার ও অন্যান্য ছুটির দিনগুলোতে কলেজ বন্ধ থাকে।

অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
কলেজের শিক্ষার্থী জন্য একটি হোস্টেল আছে। প্রতি কক্ষে ২ থেকে ৪ জন করে থাকতে পারে। ছাত্রীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সিট খালি থাকা সাপেক্ষে বরাদ্দ দেয়া হয়।  হোস্টেলের ঠিকানা: বাংলাদেশ গার্হস্থ্য  অর্থনীতি কলজে হোষ্টেল, ৪৭/১৬ ইন্দিরা রোড, ঢাকা- ১২১৫। তবে কলেজটিতে কোন ক্যান্টিন নেই, নিজস্ব কোন পরিবহন ব্যবস্থাও নেই।

শিক্ষক সংখ্যা
এখানে ২৮ জন স্থায়ী শিক্ষক এবং ১৮ জন্য শিক্ষক আছেন। .

ছাত্রীদের পড়াশোনার অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। কোন ছাত্রীর পড়াশোনায় কোন সমস্যা হলে ছাত্রী, শিক্ষক এবং অভিভাবকের আলোচনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হয়। এখানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীগণ ক্রেডিট  ট্রান্সফারের সুবিধাও পান। কোন শিক্ষার্থী বিদেশে লেখাপড়া করতে যেতে চাইলে তাকে দ্রুত কাগজপত্র দেয়া হয়।

সহশিক্ষা কার্যক্রম
কর্মক্ষেত্রে এবং বাস্তব জীবনে ছাত্রীদের উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে লেখাপড়ার পাশাপাশি তাদের সেমিনার, প্রদর্শনী, সামাজিক কার্যক্রম, শিল্পকলা, হস্তশিল্প, সঙ্গীত ও খেলাধূলার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিবছর শিক্ষাসফরের ব্যবস্থা করা হয়।
বিদেশী ছাত্রীর ভর্তির ক্ষেত্রে বাংলা জানা সাপেক্ষে A ও O লেভেল পাশের সনদ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পূরণ করে অনুমতি সাপেক্ষে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। 
খেলাধূলার জন্য ভবনের সামনে খোলা জায়গা রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ইনডোর গেমস এর ব্যবস্থাও আছে। বিভিন্ন সময়ে সেমিনারেরও আয়োজন করা হয়।

অন্যান্য তথ্য
কলেজের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা নেবার জন্য আলাদা কোন পরীক্ষা কক্ষ নেই। ক্লাশরুমগুলোয় পরীক্ষা নেয়া হয়। অনার্স এবং এমএসসি চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়ের কলা ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষক মিলনায়তনটিও ২য় তলায়। আর ভবনটির ৩য় তলায় মূল শ্রেণীকক্ষগুলোর অবস্থান।  কলেজের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে কলেজর তরফ থেকে বৃত্তি দেয়া হয়।

এটিএম বুথ
ধানমন্ডি ল্যাব এইড ডায়াগষ্টিক সেন্টার সংলগ্ন পূর্ব পার্শ্বে প্রাইম ব্যাংক, উত্তর পার্শ্বে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক, ব্রাক ব্যাংক, দক্ষিণ পাশে এইচএসবিসি ব্যাংক, কনকর্ড শপিং সেন্টার এর নীচে এবি ব্যাংকের এটিএম বুথ আছে।
আপডেটের তারিখ - ১৩ মে ২০১৩
http://www.online-dhaka.com/105_108_2606_0-bangladesh-home-economics-college-dhaka.html

গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের গৌরবময় ৫০ বছর পূর্তি - আমারদেশ

গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের গৌরবময় ৫০ বছর পূর্তি

ইসরাত জাহান
একটি দেশের সার্বিক উন্নতিকল্পে নারী পালন করছে এক বিরাট ভূমিকা। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নকামী দেশে নারীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা অতীব জরুরি। আর নারী শিক্ষার এ মহান ব্রত নিয়ে যে ক’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তার মধ্যে ব্যতিক্রমধর্মী ও অনন্য প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের অধিভুক্ত গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ। কলেজটি আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত গ্রিক স্থপতির নকশায় তৈরি। যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬১ সালে, আমেরিকার ফোর্ড ফাউন্ডেশন ও ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটির সহায়তায়। উদ্দেশ্য ছিল এ দেশের অনগ্রসর নারী জাতিকে ব্যক্তিগত উন্নয়ন, পারিবারিক ও সমাজ জীবনে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনের সহায়ক পেশাভিত্তিক শিক্ষা প্রদান করা। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে কলেজটি এ লক্ষ্যে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে চলেছে। নারীদের মধ্যে তৈরি করছে গতিশীল ব্যক্তিত্ব, কর্মোদ্যোগ, নিজের পায়ে দাঁড়ানোর উপলব্ধি ও চেতনা।
প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে অধ্যক্ষ প্রফেসর লায়লা আরজুমান্দ বানু বলেন, ‘গার্হস্থ্য অর্থনীতি একটি যুগোপযোগী শিক্ষা যা বাস্তব জীবনে খুবই প্রয়োজনীয়। এখান থেকে শিক্ষা লাভ করে শিক্ষার্থীরা দেশের ও সমাজের উন্নতিতে সহায়তা করতে পারবে বলে আমার দৃঢ়বিশ্বাস।’
এখানে যে বিষয়গুলো পড়ানো হয় তা হলো—খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান, গৃহ ব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ন, শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক, ব্যবহারিক শিল্পকলা, বস্ত্র-পরিচ্ছদ ও বয়ন শিল্প।
প্রত্যেকটা বিষয়েই আছে ইন্টার্নশিপের সুযোগ। এছাড়াও গবেষণা, সেমিনার, হিউম্যান ল্যাব, কাউন্সেলিং, ফিল্ড ওয়ার্ক, রেসিডেন্স হাউস ইত্যাদিতে কাজ করে মেয়েরা হয়ে ওঠে অত্যন্ত দক্ষ ও সাবলীল। এখানে আছে বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটস, যা উন্নত প্রশিক্ষণে মেয়েদের গড়ে তুলছে স্বাবলম্বী, স্বনির্ভর ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে।
এখানে পড়াশোনা শেষ করে দেশে-বিদেশে চমত্কার সব চাকরি করছে মেয়েরা। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসাতে পুষ্টিবিদ হিসেবে কর্মরত আছেন এখানকার ছাত্রী। এছাড়া ডিজাইনার বিবি রাসেলও পড়াশোনা করেছেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে।
গার্হস্থ্য অর্থনীতির ৫টি বিভাগের শিক্ষা পাঁচ ধরনের পেশার দ্বার উন্মোচন করে।
খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রীরা খাদ্য ও পুষ্টি সম্পর্কিত বিষয়গুলো সম্পর্কে হাতে-কলমে শিক্ষা গ্রহণ করে কর্মরত আছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুষ্টি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, খাদ্য উত্পাদন প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে পুষ্টিবিদ ও পথ্যবিদ হিসেবে।
গৃহব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ন বিষয়টি শিক্ষা দেয় সর্বক্ষেত্রে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার। বিষয়টির জ্ঞান বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এনজিও ইত্যাদিতে কাজের ক্ষেত্র তৈরি করে এবং সেখানে মেয়েরা কাজ করছে সাফল্যের সঙ্গে।
শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্রীরা উচ্চপদে কর্মরত আছেন শিশুদের কল্যাণে নিয়োজিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন হাসপাতালের শিশু বিকাশ কেন্দ্র, শিশু সংক্রান্ত কাউন্সেলিং, ইসিডি কার্যক্রম, মা ও শিশু স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে।
ব্যবহারিক শিল্পকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ও কারুশিল্প তৈরিতে দক্ষতার পরিচয় দেয়। এ বিভাগ থেকে পাস করে মেয়েরা কাজ করছেন ডিজাইন সেন্টার, বিজ্ঞাপন সংস্থা, জাদুঘর, কুটির শিল্প, মৃত্ শিল্প, তাত শিল্প প্রতিষ্ঠানে।
বস্ত্র-পরিচ্ছদ ও বয়ন শিল্প বিভাগের ছাত্রীরা সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন বিভিন্ন বস্ত্রশিল্প প্রতিষ্ঠান, বায়িং হাউসে ফ্যাশন ডিজাইনার, মার্চেন্ডাইজার ইত্যাদি পদে। গার্হস্থ্য অর্থনীতি শিক্ষা জীবনের সব ক্ষেত্রে জড়িয়ে আছে।
এ কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর নিশাত পারভীন বলেন, আবাসিক সমস্যা নিরসেন এখানে ৩টি সুশৃঙ্খল হোস্টেল আছে, ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়েরাও শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। দেশ-বিদেশের নানা বইয়ে সমৃদ্ধ লাইব্রেরিতে মেয়েরা একাডেমীর বাইরেও পড়ার সুযোগ পাচ্ছে।
গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ মেয়েদের তৈরি করছে মানবসম্পদে। তারা অসুন্দর ও অমঙ্গলকে পেছনে ফেলে কাজ করছে আলোকিত সমাজ গঠনে। তাদের কর্মময় শিক্ষা ছড়িয়ে পড়ছে গৃহে, রাষ্ট্রে ও সারা পৃথিবীতে।

http://www.amardeshonline.com/pages/printnews/2010/09/20/164583

ময়মনসিংহ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ : রাইজিংবিডি ডট কম


‘ময়মনসিংহ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ’
: রাইজিংবিডি ডট কম
Published: 01 Sep 2013 11:28:01 AM Sunday || Updated: 01 Sep 2013 04:09:37 PM Sunday


ময়মনসিংহ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের শিক্ষার্থীরা



আবু সালেহ মো. মূসা
ময়মনসিংহ , ১ সেপ্টেম্বর: তাসনিয়া আক্তারের স্বপ্ন ছিল প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে। কিন্তু পারিবারিক অবস্থানগত কারণে সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি।

কিন্তু একটি পরিকল্পনা তাকে সেই স্বপ্নের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। তাকে সেই সুযোগ করে দিয়েছে ময়মনসিংহ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ।

শিক্ষা নগরী হিসেবে পরিচিত ময়মনসিংহের ৯২/খ, সি.কে.ঘোষ রোডে মাত্র চার বছর আগে একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে নিয়ে গড়ে উঠেছে এ কলেজ।

চলমান বিশ্ব বাস্তবতায় খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান এবং গৃহ ব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ন শিক্ষার গুরুত্ব ব্যাপক। আর এ সময়োপযোগী শিক্ষাক্রমের শূণ্যতা ছিল ময়মনসিংহে। একঝাঁক শিক্ষানুরাগীর সম্মিলিত প্রয়াস ও আধুনিক চিন্তা-চেতনার ফসল ময়মনসিংহ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ সেই শূণ্যতা পূরণ করেছে।

২০০৮ সালে মাত্র ১৫ জন ছাত্রী নিয়ে পথচলা শুরু এ কলেজটির। প্রিন্সিপালের দায়িত্ব দেয়া হয় ঢাকা’র সরকারি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের স্বনামধন্য সাবেক প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ড. ফিরোজা সুলতানাকে।

বর্তমানে চার বছর মেয়াদী অনার্স কোর্স চলছে কলেজটিতে। শিক্ষার্থী ৩৫ জন। এরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় এ কলেজে লেখাপড়া করছে। এটা তাদের জন্য গর্বের।

ময়মনসিংহের বিশিষ্ট শিক্ষা উদ্যোক্তা, ময়মনসিংহ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘মানব সম্পদ উন্নয়নে মহিলা বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এ বিষয়কে সামনে রেখেই আমরা এ কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেছি। মেয়েদের জন্য এটা একটি স্বতন্ত্র কলেজ।’

এ কলেজের অন্যতম পরিচালক স্বরজিত রায় জোনাকী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এ কলেজটি বেসরকারিভাবে পরিচালিত। কলেজটিতে গার্হস্থ্য অর্থনীতিতে বি.এস.সি (অনার্স) ডিগ্রী প্রদান করা হবে।’

এ কলেজটিতে যারা পাঠদান করেন তারা সবাই অত্যন্ত যোগ্য। একঝাঁক মেধাবী নারী আত্ননিয়োগ করেছেন পাঠদানে। এদের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ড. ফিরোজা সুলতানা।

ফাহমিদা ইসলাম, সুপর্ণা দেবনাথ, মাহাবুবা আক্তার ও কাশফিয়া তাসলিমকে নিয়ে তিনি সাজিয়েছেন এক অসাধারণ ‘টিম’।



রাইজিংবিডি / শামটি / এস

অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি - সোনিয়া বীথি, দ্বিতীয় বর্ষ (গৃহ ব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ন), গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ

অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিসোনিয়া বীথি দ্বিতীয় বর্ষ গৃহ ব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ন বিভাগ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজতোমরা আমাকে একটা শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একটা শিক্ষিত জাতি দেব 
_নেপোলিয়ান

শিক্ষা মানুষের এমন এক মৌলিক অধিকার যা তাকে বিকশিত করে। প্রসারিত করে তার মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গিকে এবং নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়াতে অনুপ্রাণিত করে। আর সে শিক্ষা যদি হয় গার্হস্থ্য অর্থনীতির মতো জীবনভিত্তিক, তবে তা জীবনকে আরো অর্থবহ করে তুলতে পারে। আধুনিক সভ্যতায় গার্হস্থ্য শ্রমের গুরুত্ব সমাজ ও রাষ্ট্রে স্বীকৃত একটি বিষয়। সমাজ-রাষ্ট্রের অগ্রযাত্রায় গার্হস্থ্য অর্থনীতির গুরুত্ব ক্রমে বাড়ছে আমাদের দেশে। এ শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে এ ধরনের শিক্ষার প্রবর্তন ঘটে ১৯৬১ সালে। ফলে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতি বছর এখানকার ৫টি বিভাগে ৬৫০ ছাত্রী ভর্তি হন। এসব মেধাবী ছাত্রী বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের নিয়োজিত রেখে দেশ ও জাতির জন্য সুনাম বয়ে আনছেন। এ ছাড়া শুধু গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের জন্য বিসিএস পরীক্ষায় ১০টি আসন বরাদ্দ আছে। প্রশাসন, ব্যাংক, সরকারি চাকরি, বহুজাতিক কোম্পানি ইত্যাদি সেক্টরে এ কলেজ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। গৃহ ব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ন বিভাগটিকে বলা হয় গার্হস্থ্য অর্থনীতির প্রাণ। কারণ জীবনের প্রতিটি কর্মেই ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। গৃহ ব্যবস্থাপনা হচ্ছে পারিবারিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা। জীবনের লক্ষ্য পূরণের মাধ্যমে জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তোলার পাশাপাশি জীবনযাপনে পরিবেশ এবং আবাসস্থলকে আরামদায়ক করে তোলার শিক্ষা দেয় গৃহ ব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ন বিভাগ। ভোক্তা হিসেবে অর্থনীতিতে আমাদের অবদান থাকা উচিত। উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দেশীয় সম্পদ ব্যবহার করে অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী হতে গৃহ ব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ন বিভাগ শিক্ষা দেয়। গৃহনকশা, অভ্যন্তরীণ গৃহসজ্জা_ এসব এ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত বিষয়। এছাড়া খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞানের ছাত্রীরা দেশের অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বস্ত্র পরিচ্ছদ ও বয়নশিল্পে ছাত্রীরা ফ্যাশন ডিজাইনার হয়ে বিভিন্ন গার্মেন্টে কর্মরত আছেন। গার্মেন্ট শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ খাত থেকে বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্রীরা তাদের বিভাগ থেকে পাস করে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে চাকরি করছে। এছাড়া শিশুবিষয়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, শিশুবিকাশ কেন্দ্র, শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিচালিত শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র, সেভ দ্য চিলড্রেন, ইউনিসেফ, ওয়ার্ল্ড ভিশন প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ ঘটছে। ব্যবহারিক শিল্পকলা বিভাগের ছাত্রীরা শিক্ষকতা, গবেষণা, কুটিরশিল্প সংস্থা পরিচালনা, বিজ্ঞাপন ডিজাইন সংস্থা, ডিজাইন সেন্টার, হোটেল ইনটেরিওর ডেকোরেশন, ফ্যাশান ডিজাইনিং সেক্টরে কর্মরত আছেন। আমাদের কলেজের সুপরিচিত মুখ প্রফেসর সিদ্দিকা কবির, বিবি রাসেল, শাহীন আহমেদ প্রমুখ দেশের জন্য বয়ে এনেছেন সম্মান ও স্বীকৃতি। আমরা এ কলেজ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে দেশ ও রাষ্ট্রের জন্য সুনাম বয়ে আনতে চাই। প্রতিটি মানুষের ছোট ছোট স্বপ্ন রয়েছে। এ স্বপ্নই একদিন বিস্ফোরিত হয়ে গড়ে তুলবে বড় স্বপ্ন। তাই আমরাও তাকিয়ে আছি ভবিষ্যতের দিকে। আমরা তরুণরা পারি বাংলাদেশকে বিনির্মাণ করতে। আমরা চাই বাংলাদেশ ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ হোক। আর এ স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা। আমরা ছেলেমেয়ে কোনো ভেদাভেদ না করে দেশ ও জাতির কল্যাণে সমান এগিয়ে যেতে চাই। আমরা স্বপ্ন দেখি_ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশের। একদিন হয়তো সত্যি সত্যি আমাদের দেশ স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবে_ এ প্রত্যাশা আমাদের সবার।

http://www.dainikdestiny.com/print_news.php?pub_no=309&cat_id=1&menu_id=78&news_type_id=1&news_id=57774

৫০ বছরের পথচলা - গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ

৫০ বছরের পথচলাহাঁটি হাঁটি পা পা করে ৫০ বছর বয়স হলো গার্হস্থ্য অর্থনীতি মহাবিদ্যালয়ের। পুরোপরি হাতে-কলমে অনুষ্ঠিত হয় এখানে লেখাপড়া। ঐতিহ্যবাহী এই কলেজ ঘুরে এসে লিখেছেন সৈয়দা আফিয়াত হাসিন
গার্হস্থ্য অর্থনীতি মহাবিদ্যালয়ে স্মাতক সম্মান কোর্সটিকে পাঁচটি বিষয়ে বিভক্ত করে ছাত্রীদের পড়ানো হয়। এগুলো হলো_খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান, বস্ত্র-পরিচ্ছদ ও বয়নশিল্প, গৃহ ব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ন, শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক এবং ব্যবহারিক শিল্পকলা। ২০০৬ সালে যুক্ত হয় এমএস কোর্স। বিভিন্ন বিভাগের প্রায় তিন হাজার ৫০০ ছাত্রীকে পাঠদানের জন্য রয়েছেন ৫৬ জন শিক্ষক। ১০.৩ একরের ক্যাম্পাসের সামনের অংশে রয়েছে বিভাগীয় সেমিনার, ল্যাবরেটরি, লাইব্রেরি, অডিটরিয়াম, প্রার্থনাকক্ষ এবং প্রশাসনিক ও শ্রেণীকক্ষ। লাইব্রেরিতে রয়েছে প্রায় ১১ হাজার বই ও ২০৮টি জার্নাল। ক্যাম্পাসের বাকি অংশে আছে প্রায় ৪৫০ জন ছাত্রীর বাসযোগ্য তিনটি হোস্টেল, শিক্ষক কোয়ার্টার, ক্যাফেটেরিয়া, রেসিডেন্স হাউস, পুকুর, শহীদ মিনার, দুটি খেলার মাঠ এবং শিশুবর্ধন বিভাগের অধীনে নার্সারি স্কুল।
কলেজটির পথচলা শুরু ১৯৬১ সালে, মাত্র ২৫ জন ছাত্রী নিয়ে। দেশ স্বাধীন হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কলেজটি প্রশাসনিক নির্দেশকের দায়িত্বে পরিচালিত হয়। একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
দক্ষতার হাতেখড়ি : গেট দিয়ে ঢুকতেই আচারের দোকানে দেখা গেল ছাত্রীদের ছোটখাটো জটলা। কলেজের বিশেষত্ব কী জানতে চাইলে গৃহ ব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী জেনিফারের চটপট জবাব, 'আমাদের এখানে ছাত্ররাজনীতি নেই।' ক্লাসমেট মিতু বলেন, 'কোনো সেশন জটও নেই। সরকারি কলেজ হওয়ায় বেতনও কম। তা ছাড়া এখান থেকে পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট পাওয়া যায়।' শিশুবর্ধন ও সামাজিক সম্পর্ক বিভাগের মাস্টার্সের সুরভী মনে করেন, এখানে পড়াশোনা পেশাসংশ্লিষ্ট হওয়ায় একজন ছাত্রী জীবন যাপন এবং চাকরির বাজারের জন্য দক্ষ হয়ে গড়ে ওঠে। রান্নাবান্না, সেলাই নিয়ে পড়তে হবে শুনে প্রথমে তাঁরও মন খারাপ হতো। এখন হয় না। বরং নিত্যপ্রয়োজনীয় বিষয়ে হাতে-কলমে পাঠ নিতে পেরে খুব ভালো লাগে। একই বিষয়ের দীপাও মনে করেন, পড়াশোনার সবটাই ব্যবহারিক ক্ষেত্রসংশ্লিষ্ট হওয়ায় পেশাগত দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও পারদর্শী হয়ে ওঠা যায়।
কলেজের বাম পাশের রেসিডেন্স হাউসের জানালার দিকে চোখ পড়তেই দেখা গেল ১০-১২ জনের একটি দল পরম মমতায় গুছিয়ে চলেছে ঘরটিকে। কী হচ্ছে জানতে চাইলে হোম ম্যানেজমেন্টের দিবা জানান, তৃতীয় বর্ষের রেসিডেন্স কোর্সের পরীক্ষা হচ্ছে। তাঁদের ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে ১৫ দিন করে এই বাসায় থাকতে হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে তিনি বলেন, 'এই রুমটি আমাদের ডিপার্টমেন্টের একটা ল্যাবরেটরির মতো। পরীক্ষার সময় এখানে ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন থেকে শুরু করে যাবতীয় ব্যবস্থাপনা হাতে-কলমে করতে হয়।' একটু এগিয়েই বস্ত্র-পরিচ্ছদ ও বয়নশিল্পের সেমিনার রুম। সেখানে বইয়ের আলমারি, টেবিল-চেয়ার ছাড়াও আছে গ্যাসের চুলা, দেয়ালে ঝোলানো জামাকাপড়সহ অনেক কিছুই। পোশাক ডিজাইনের সময় এগুলো ব্যবহার করা হয়। বস্ত্র-পরিচ্ছদের মৌ জানান, শিল্পকলার ল্যাবে কয়েক রকম তাঁতও আছে।
আমরা করব জয় : আকাশভাঙা বৃষ্টিতে ৩ নম্বর হোস্টেলের মাঠটা কাদায় একাকার। সেখানে দেখা মিলল ছয় প্রাণবন্ত তরুণীর। বৃষ্টিতে ভিজে ইচিং-বিচিং খেলছেন। দিবা বলেন, 'পড়াশোনার ফাঁকে অনেক মজা করি। সুযোগ পেলেই আড্ডা জমে ক্যান্টিন, অডিটরিয়াম, বটতলা অথবা ক্লাসের বারান্দায়।' কলেজে প্রতিবছরই থাকে খেলাধুলার আয়োজন। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর শিক্ষা সফর তো আছেই।
চাকরির বাজার : কলেজের অধ্যক্ষ লায়লা আরজুমান্দ বানু জানান, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের ফলাফলও অনেক ভালো। প্রতিবছর প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ ছাত্রী প্রথম শ্রেণী পান। সাংস্কৃতিক অঙ্গন, বিএনসিসি, স্কাউটিং এবং খেলাধুলায়ও মেয়েদের রয়েছে সুনাম। এ বছর জাতীয় মহিলা হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতায়ও মেয়েরা ভালো করেছেন। এখান থেকে পাস করার পর ছাত্রীদের পেশাগত ভবিষ্যৎও উজ্জ্বল। গত ৫০ বছরে প্রায় ১৫ হাজার পুষ্টিবিদ তৈরি হয়েছেন। এ ছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ইনস্টিটিউট, ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন ইনস্টিটিউট, শিশুবিষয়ক সংস্থা, হাসপাতাল, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এবং হস্তশিল্প কেন্দ্রগুলোতে প্রচুর ছাত্রী কাজ করছেন।
ছোট ছোট চাওয়া : কলেজের ছাত্রীদের মধ্যে যাঁরা হলে থাকেন না তাঁদের প্রধান সমস্যা যাতায়াত। ছাত্রীদের আরেকটি বড় সমস্যার নাম ফটোকপিয়ার মেশিন। ক্যান্টিনের পাশে থাকা একমাত্র ফটোকপিয়ার মেশিনই তাঁদের ভরসা। শিশুবর্ধনের ইফফাত ফেরদৌস অভিযোগের সুরে জানান, ক্যাম্পাসে একটাই ফটোকপি মেশিন। লম্বা লাইন থাকায় ফটোকপি করতে অনেক সময় নষ্ট হয়। তবে হোস্টেল নিয়ে ছাত্রীদের তেমন অভিযোগ নেই। দিবা বলেন, হোস্টেলের পরিবেশ বেশ ভালো।
অধ্যক্ষের মুখোমুখি : কলেজের সমস্যা ও পরিকল্পনা সম্পর্কে মতামত জানতে চাইলে অধ্যক্ষ লায়লা আরজুমান্দ বানু বলেন, 'কলেজের সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমরা সব সময় সচেষ্ট। এর পরও ছোটখাটো কিছু সমস্যা থাকতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, এগুলো কলেজের ফলাফলকে বাধাগ্রস্ত করছে না।' ২৪ সেপ্টেম্বর কলেজে অনুষ্ঠিত হবে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব। তাই পুনর্মিলনীর জন্য রেজিস্ট্রেশন চলছে বলে জানান কলেজের অধ্যক্ষ লায়লা আরজুমান্দ বানু।
কালেরকন্ঠhttp://www.kalerkantho.com/print_edition/?view=details&archiev=yes&arch_date=26-09-2011&feature=yes&type=gold&data=news&pub_no=648&cat_id=3&menu_id=74&news_type_id=1&index=0

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত রেজিস্ট্রেশন কার্ড

হোম ইকোনমিক্স ইউনিট এর একটি কলেজের জনৈকা ছাত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত রেজিস্ট্রেশন কার্ড।
এই কার্ডটিতে স্পষ্ট লেখা আছে- "উক্ত শিক্ষার্থীর নিকট হইতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী হিসেবে নাম রেজিস্ট্রেশন-এর নির্ধারিত ফিস গ্রহন করিয়া তাহাকে উপরোক্ত রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রদান করা হইল।"
তাহলে এই কলেজ গুলোর একজন ছাত্রী কি নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বলতে পারবে?? রেজিস্ট্রেশন কার্ডের ভাষ্য অনুযায়ী পারা উচিত, বিশেষ করে গার্হস্থ্য ইউনিট এর মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পুর্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্বাবধানে হওয়ায় এই দাবিটা আরো বেড়েছে। এও ঠিক যে তিনি সংশ্লিষ্ট কলেজের ছাত্রীও বটে। কিন্তু তিনি নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বললে একদম ভুল হবে না, আংশিক সত্য হবে হয়তো।
আপনার কলেজ/ইন্সটিটিউট যাই হোক আপু, আপনার আসল আইডি কিন্তু এই রেজিস্ট্রেশন নাম্বার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত রেজিস্ট্রেশন কার্ড

প্রসঙ্গঃ সরকারী ও বেসরকারী গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজঃ সাদৃশ্য-পার্থক্য

❇ প্রসঙ্গঃ সরকারী ও বেসরকারী গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজঃ সাদৃশ্য-পার্থক্য ❇
প্রথমেই আসি সাদৃশ্যগুলোর ব্যাপারেঃ-
১। জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত সবগুলো কলেজ মিলে গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট
২। একসাথে ভর্তি পরীক্ষা
৩। কোর্সের বাৎসরিক পরীক্ষাগুলো হয় একসাথে এক সিলেবাসে এক প্রশ্নে। আজিমপুরের পরীক্ষা হয় তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাসে, বেসরকারী কলেজগুলোর হয় কার্জন হলে।
৪। বাৎসরিক ফাইনাল পরীক্ষাগুলোর মেরিট সিরিয়াল হয় একসাথে। একারনে বেসরকারী কলেজের অনেকেই ফাইনাল মেধাতালিকায় প্রথমদিকে স্থান করে নেয়।
৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই রকমের সার্টিফিকেট পায় সবাই
৬। সমাবর্তন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে, একসাথে।
এবার পার্থক্যঃ
১। সরকারী গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ অনেক পুরাতন ও স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান, বেসরকারীগুলো সে তুলনায় নতুন।
২। সরকারী গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের ক্যাম্পাস বড়, সুন্দর, নিজস্ব হল আছে। বেসরকারীগুলোর ক্যাম্পাস সে তুলনায় অনেকটা প্রাইভেট ভার্সিটির মত।
৩। প্রাইভেটে খরচ বেশি।
Collected from-
DU Home Economics Unit Admission & Discussion

গার্হস্থ্য অর্থনীতি: ভুল ধারনা

আপুরা, আমরা যারা গার্হস্থ্য অর্থনীতি সাবজেক্টে পড়ি এটা নিয়ে কারো কারো কোন কোন সময় মানুষের আজগুবি কথা প্রশ্ন শুনতে হয়। যেমনঃ-
Food and Nutrition: রান্না-বান্না শিখবা?
Clothing and Textile: জামা কাপড় রিপু করবা?
Child Development: তুই বাচ্চা পালবি?
Home management: ঘড় গুছানো শিখবা?
Related Art: জামা কাপড়ে নকশা করা শিখবা?
১। একটু চিন্তা করতো এই প্রশ্নগুলো কোথা থেকে এল??... হ্যাঁ, ... হাইস্কুল থকে। হাইস্কুলের গার্হস্থ্য অর্থনীতি সিলেবাসে এসব সবাই পড়ে এসেছে তো, তাই তারা এমন প্রশ্ন করে। ভাবে কত সহজ পড়াশুনা। এবার হাইস্কুলের কৃষিশিক্ষা বইটা ঘেতে দেখতো। হুম, সেখানেও হালচাষ পশুপালন এ বিষয়গুলো থাকে। এইযে সারা দেশে এত এত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, এত এত গবেষণা সংস্থা সেগুলো নিয়ে তো কেউ বলে না হালচাষ পশুপালন শিখানো হয়। সেগুলো নিয়ে তো বলে না সহজ পড়াশনা।
২। আমাদের সিলেবাসগুলো তো কেউ দেখে না, নাম শুনেই অনেকে এমন ধারনা করে বসে থাকে। ধর, Home Management & Housing এর কথাই বলি, শুনতে খুব সাধারণ মনে হলেও পড়ানো হয় Resource Management, Interior Design, ইত্যাদি বিষয়, সাথে Home Economics এর অন্যান্য বিষয়গুলো তো থাকছেই।http://www.govhec.edu.bd/ এই সাইটে প্রত্যেকটা বিষয়ের সিলেবাস দেয়া আছে। কারো কোন সমস্যা থাকলে ঘেটে দেখতে বলো।
৩। চারটা কলেজ মিলে এখন ক,খ,গ,ঘ ইউনিট এর মত গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট, এবার ভর্তি পরীক্ষার্থী ছিল ১০ হাজারের মত। অনেকেই ইউনিট এর কথা জানতো না, কারন অন্যান্য ইউনিটে পরীক্ষা হবার পরে এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইটে অন্তর্ভুক্ত হয়। আগামীতে কম্পিটিশন দ্বিগুণ তিনগুন হবে। এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইটের স্ক্রিনশট দেয়া আছে...http://homeeconomicsdu.blogspot.com/p/blog-page_7778.html
কেউ আজগুবি কথা বললে চুপ করে না থেকে যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে বলে দিও, একসময় বুঝবে। পরিবর্তন তো একদিনে হয় না। আর তুমিই যদি এ বিষয়ে পড়ে ভাল করতে পার তাহলে তোমার কদর একদিন সবাই করবে।
ভালো থাকবেন সবাই।।
Collected From Group: DU Home Economics Unit Admission & Discussion
https://www.facebook.com/groups/DU.HE.UNIT.ADMISSION/

গার্হস্থ্য অর্থনীতির মূল বিষয় ৫ টি

✺গার্হস্থ্য অর্থনীতির মূল বিষয় ৫ টি, প্রতিটিই গুরুত্বপূর্নঃ-
1.খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান - আপনার প্রতিদিনের খাদ্য ডায়েটের জন্য এর ছাত্রীদের অর্জিত জ্ঞান আবশ্যক।যা আপনী ভাল ভাল নামি দামী হাসপাতাল বা ক্লিনিক ছাড়া অন্য কোথাও পাবেন না।
2.গৃহ ব্যবস্থাপনা- আপনার সুন্দর গৃহটির সজ্জাবিন্যাসের জন্য অবশ্যই একজন ডেকোরেটর প্রয়োজন।যাকে আপনি খুঁজতে যান বিভিন্ন ডেভলপার ও বিল্ডার্স কোম্পানি গুলোতে।
3.ব্যবহারিক শিল্পকলা- শিল্পি ও শিল্প ছাড়া পৃথিবী অচল।যত প্রকার শিল্প আপনি খুঁজেন স্থাপত্য থেকে আপনার অফিস পর্যন্ত সব ই এদের তৈরী।
4.শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক- সামাজিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এর ছাত্রীদের পদচারনায় কর্মচঞ্চল।
5.বস্ত্র ও বস্ত্র পরিচ্ছদ- পোশাক শিল্পের উপর আমাদের জাতীয় আয় অনেকাংশে নির্ভরশীল।সুতরাং এর ছাত্রীরা সেই জাতীয় উন্নয়নের দাবিদার।
Courtesy: Home Economics College Fact & Confession
Share Plz.