তা মা ন্না চৌ ধু রী
প্রিন্সিপাল ডায়েটেশিয়ান
অ্যাপোলো হসপিটাল, ঢাকা
ঢাকা, সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১২
'আমার মা পড়তেন গার্হস্থ্য অর্থনীতিতে। তাই ছোটবেলা থেকেই ওখানে পড়ার ইচ্ছা ছিল। গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে চান্স পাওয়ার পর যখন বিষয় নির্বাচনের ধাপটি এল, তখন ভাবলাম এমন একটি বিষয় নেব, যার জ্ঞান আমি ঘরে ও বাইরে দুই জায়গাতেই প্রয়োগ করতে পারব। এই ভেবে খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হই। এখন আমি আমার পেশাগত জীবনে একাডেমিক জ্ঞানগুলো কাজে লাগাতে পারি, পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঠিক, পরিমিত ও সুষম ডায়েট নিশ্চিত করতে সহায়তা করি। এভাবে শুরু করলেন অ্যাপোলো হসপিটাল, ঢাকার প্রিন্সিপাল ডায়েটেশিয়ান তামান্না চৌধুরী। তামান্নার এই পেশায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ কতটুকু জানতে চেয়েছিলাম। তিনি জানালেন শুরুর দিকটাতে মানুষ বুঝত না আসলেই এই পেশার চাহিদা বা প্রয়োজনীয়তা কতখানি। সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে সময় লাগলেও এখন তারা বেশ আশাবাদী, বড় শহরগুলোতে এখন অনেকেই ডায়েটেশিয়ানের খোঁজ করছেন। ডাক্তাররাও রোগীদের যোগ্য পরামর্শের জন্য অনেক সময় তাদের কাছে পাঠাচ্ছেন। এর মাধ্যমে রোগীরাও আস্থা নিয়ে আসছে, এই বিষয়টা যথেষ্টই উপভোগ করেন তিনি। প্রজন্মের এই ডায়েটেশিয়ান একাধিকবার দেশের বাইরে থেকে পুষ্টিবিজ্ঞান ও ডায়েটিশিয়ানের ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। নয়াদিল্লি থেকে ডায়েবেটিসের উপর পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। প্রতিবছরই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নেন তিনি। বাবার চিকিত্সার জন্য আমেরিকাতে থাকাকালীন বিশ্বের সেরা হাসপাতালগুলোর ডায়েট বিভাগের কাজ তিনি সামনে থেকে দেখেন, সেটাও তার জন্য বড় এক অভিজ্ঞতা। তামান্না মনে করেন, সময়ের সাথে সাথে এই ক্ষেত্রটা তাই পেশা হিসেবে বেশ উপযোগী আমাদের দেশে। আগে খুব একটা আলাদা কাজ করার জায়গা না থাকলেও এখন হয়েছে, মানুষ বেশ আগ্রহ নিয়ে আসছে কাজ করতে। নতুনদের কাজ দেখে বেশ আগ্রহী তামান্না। ইন্টার্নি করতে যারা আসে তারা হাসিমুখে সেবা দিচ্ছে রোগীদের। রোগীরাও অনেক সময় ডায়েটের বিষয়ে কনসালটেশনে খোলামেলা কথা বলছে তাদের সাথে। এই সুযোগে সবার সাথেই একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠছে। বিশেষ করে মেয়েরা অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে কনসালটেশনে অংশ নিচ্ছে, ছেলেরাও পুষ্টিবিজ্ঞানের দিকটাতে খুব ভালো করছে। তামান্নার বাবা ছিলেন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। তারা তিন বোন। তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে তাই দেশের বিভিন্ন শহর ঘুরে ঘুরে। কুমিল্লা, রাজবাড়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ অনেক জেলাতেই তার স্কুল-কলেজের জীবন কেটেছে। ঢাকার আইডিয়াল স্কুল থেকে এসএসসি আর রাজবাড়ি কলেজ থেকে এইচএসসি উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে। পারিবারিক জীবনে এখন মা আর দুই সন্তান তানজীন আর তানিশাকে নিয়ে কেটে যায় তার সুখের দিন। অবসরে টিভি দেখতে ভালোবাসেন খুব, গান শুনতে বই পড়তে ভালো লাগে তার। বাকি সময়টা শুধুই রোগীদের সেবায়, যাদের সন্তুষ্টিই তার সবেচেয়ে বড় প্রাপ্তি। অভিজ্ঞ এই ডায়েটিশিয়ান স্বপ্ন দেখেন নিজেই একটা ইনস্টিটিউশন দেবেন, সেটা পুরোটাই নিবেদিত থাকবে ডায়েটের প্রয়োজন আছে এমন রোগীদের জন্য। সেটা বাস্তবায়ন হলে হয়তো অনেকেই কাজ করার সুযোগ পাবে, তার চেয়ে বড় কথা পৃথক একটা জায়গা থাকবে রোগীদের বিশেষ যত্ন ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য।
তামান্না চৌধুরী
ডাকনাম :তামান্না
জন্ম তারিখ ও স্থান :৩ জুন, ঢাকা
মায়ের নাম :আশরাফা খানম চৌধুরী
বাবার নাম :গোলাম মওলা চৌধুরী
প্রথম স্কুল :উদয়ন হাই স্কুল, ঢাকা
প্রিয় মানুষ :আমার বাবা
প্রিয় উক্তি :বর্তমানটাই পাথেয়
প্রিয় পোশাক :শাড়ি
অবসর কাটে যেভাবে :টিভি দেখে, বই পড়ে
সাফল্যের সংজ্ঞা :যা শেখা হয় তা জীবনে ঠিকমতো প্রয়োগ করতে পারা।
প্রিন্সিপাল ডায়েটেশিয়ান
অ্যাপোলো হসপিটাল, ঢাকা
ঢাকা, সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১২
তামান্না চৌধুরী
ডাকনাম :তামান্না
জন্ম তারিখ ও স্থান :৩ জুন, ঢাকা
মায়ের নাম :আশরাফা খানম চৌধুরী
বাবার নাম :গোলাম মওলা চৌধুরী
প্রথম স্কুল :উদয়ন হাই স্কুল, ঢাকা
প্রিয় মানুষ :আমার বাবা
প্রিয় উক্তি :বর্তমানটাই পাথেয়
প্রিয় পোশাক :শাড়ি
অবসর কাটে যেভাবে :টিভি দেখে, বই পড়ে
সাফল্যের সংজ্ঞা :যা শেখা হয় তা জীবনে ঠিকমতো প্রয়োগ করতে পারা।